অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ৫টি সাইট
বর্তমানে যারা অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চাই তারা ইন্টারনেটকে বেছে নিচ্ছি। অনলাইনে আয় করার জন্য অন্যতম একটি কারন হচ্ছে এটি স্বাধীন পেশা। ডিজিটাল যুগে অনেক ধরনের জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম সাইট রয়েছে যেগুলো থেকে মোবাইলে অনলাইন থেকে ঘরে বসে হাজার হাজার ডলার উপার্জন করা যায় ও বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া যায়। কিভাবে সহজেই অনলাইন থেকে ইনকাম করব সেটা হয়তো অনেকেই জানি না।
ডিজিটাল, অ্যাফিলিয়েট, সিপিএ মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্সিং ও ইউটিউব হচ্ছে আয়ের কিছু বেস্ট উপায় বা ইনকাম সাইট। ছাত্রজীবনে পড়াশোনা করার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করার পথ বা কৌশল রয়েছে।
আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট পাবেন যেখানে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকার কাজ করছে এবং অর্থ উপার্জন করে সফল হচ্ছে। কিন্তু এদের মধ্যে কেউই অনলাইনে এসেই টাকা ইনকাম করতে পারে নাই এর জন্য তাদের ধৈর্যের সাথে পরিশ্রম করতে হয়েছে।
আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে বিভিন্ন দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কারণ কোনো বিষয়ের উপর দক্ষতা না থাকলে অনলাইন ইনকাম করা যায় না। আপনার কাছে যে কাজ সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে অথবা যেকোনো কাজ করতে আগ্রহী সেটার উপর দক্ষতা অর্জন করুন।
সেরা ৫টি অনলাইন ইনকাম সাইট
অনলাইনে আয় করার জন্য যারা কোনো দক্ষতা অর্জন না করে অনলাইন জব করতে গেছে তারা সবাই ধোকা বাজদের পাল্লায় পরে শুধু সময়গুলো নষ্ট করেছে। তাই মনে রাখবেন কোনো বিষয়ের উপর জানা বা দক্ষতা না থাকলে টাকা ইনকাম করা যায় না। বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও সিপিএ মার্কেটিং এর অনেক চাহিদা রয়েছে।
বাড়িতে বসে টাকা ইনকাম করার জন্য এই মার্কেটিং গুলো বেশ জনপ্রিয় এবং এই মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন ইনকাম সাইট রয়েছে। আর যদি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চান তাহলে বিভিন্ন জনপ্রিয় প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে ফ্রিল্যান্সিং জব করা হয়।
টাকা আয় করার জন্য আরো একটি সহজ উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি দ্রুত ডলার ইনকাম করার সুযোগ পাবেন আর সেটা হচ্ছে ব্লগিং করে টাকা আয়। একটি ওয়েবসাইট খুলে আর্টিকেল লিখে অনলাইনে ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন। আজকে আমি অনলাইন ইনকাম সাইট নিয়ে কিছু আলোচনা করব যার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে আয় করার উপায় খুঁজে পাবেন।
১। Fiverr.Com-থেকে অনলাইন ইনকাম
অনলাইনে আয় করার জন্য জনপ্রিয় একটি অনলাইন ইনকাম সাইট হচ্ছে ফাইভার ডটকম। আপনি যদি কোনো তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক কোনো দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চান তাহলে এই প্লাটফর্মটি আপনার জন্য উপযুক্ত।
এই সাইটে কাজের অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং পাঁচ ডলারের নিচে কোনো কাজ নেই। আপনি যদি কোনো কাজ নিয়ে এই সাইটে নতুন হয়ে প্রবেশ করেন তাহলে সেই কাজের সর্বনিম্ন মূল্য ৫ ডলার দিতে পারবেন। আপনার সার্ভিসটি গিগ তৈরি করার মাধ্যমে ক্লায়েন্টের কাছে প্রদর্শন করতে পারবেন।
আপনার যদি কোনো কাজের উপর দক্ষতা না থাকে তাহলে এই সাইট থেকে নিতে পারেন কোন কাজগুলো বেশি জনপ্রিয় এবং সেই অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আপনি এই সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রথমে ৫টি গিগ তৈরি করতে পারবেন। এভাবে আপনি ক্লায়েন্টের কাজ যত কমপ্লিট করতে পারবেন আপনার অ্যাকাউন্টের লেভেল বাড়বে এবং বিড বা গিগ তৈরি করার অপশনও বাড়বে।
মনে রাখবেন একটি আইপি দিয়ে ফাইভারে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যাবে। আর যদি একটি আইপি দিয়ে দুটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন তাহলে ফাইভার থেকে আপনার দুইটা অ্যাকাউন্টই বাদ করে দিতে পারে তাই সতর্ক থাকবেন।
আর ফাইভারে প্রোফাইল তৈরি করার সময় আপনার সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিবেন আর যদি না দেন তাহলে ফাইভার থেকে আপনার ইনকাম করা টাকা উঠাতে সমস্যা হতে পারে।
আপনি যদি কোনো ক্লায়েন্টের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে কমপ্লিট করে দিতে না পারেন আর ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে খারাপ ফিডব্যাক দেয় তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট র্যাংক হারাতে পারে। তাই ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জন্য আপনাকে কাজের দক্ষতা এবং বিভিন্ন বিষয়ের উপর সতর্ক থাকতে হবে।
২। Freelancer.Com
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার ডটকম। এই মার্কেটপ্লেস থেকে প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে। এই সাইটে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অনলাইন ইনকাম করা যায় যেমনঃ ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এসইও, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি।
আপনি যদি কোনো কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে এই সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিড করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং জব শুরু করে দিতে পারেন। এই সাইটে আপনি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর প্রথমে ১০টি বিড করার সুযোগ পাবেন। বিড করার আগে আপনি আপনার প্রোফাইলটি সম্পূর্ণভাবে কমপ্লিট করে নিবেন।
কোনো বিড করার আগে ভেবে চিন্তা করে বিড তৈরি করবেন যেন মানসম্মত বিড তৈরি হয়। ভালো মানের বিড হতে পারে দ্রুত কাজ পাওয়ার একটি উপায়।
ফ্রিল্যান্সার ডটকম সাইটে সাধারণত ক্লায়েন্টরা জব টিউন করে থাকে এবং তাদের কাছে আপনার বিড প্রদর্শন করার মাধ্যমে কাজ পাবেন। ক্লায়েন্ট যদি আপনার বিড দেখে পছন্দ করে তবে আপনি তার কাছ থেকে কাজের অর্ডার পাবেন।
মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং আয় করতে হলে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। আপনি ফ্রিল্যান্সার সাইট থেকে প্রথমবার কোনো জব অর্ডার পেলে নিখুঁতভাবে কাজ করে সঠিক সময়ের মধ্যে ক্লায়েন্টকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে ক্লায়েন্ট আপনার উপর খুশি হয়ে পরবর্তি কাজ আপনাকে দিয়ে করাতে পারে।
আপনি যদি জানতে ফ্রিল্যান্সার ডটকম সাইটে কত জন ইউজার এবং কতগুলো জব টিউন করা হয়েছে তাহলে ফ্রিল্যান্সার ডটকম সাইটে প্রবেশ করে নিচের দিকে এসে দেখতে পারবেন। তাই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য পছন্দ মতো দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং জব শুরু করে দিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং জব করার জন্য আরো কিছু জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি বাড়িতে বসে টাকা ইনকাম করতে পারেন যেমনঃ আপওয়ার্ক ডট কম, গুরু ডট কম ইত্যাদি।
৩। Amazon.Com-থেকে অনলাইন ইনকাম
পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য অ্যামাজন ডট কম বিশ্বের সবচেয়ে বড় একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। অনলাইনে আয় করার জন্য অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম ভূমিকা পালন করে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ যেখানে পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা হয়।
আপনি যদি কোনো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস থেকে পণ্য নিয়ে মার্কেটিং করার মাধ্যমে বিক্রয় করে দিতে পারেন তাহলে সেখান থেকে কমিশনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এরই ধারাবাহিকতায় অ্যামাজন হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার একটি বেস্ট প্লাটফর্ম। আমেরিকায় অ্যামাজন ডট কম এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সেখান অনেক মানুষ অনলাইন শপিং করার জন্য অ্যামাজনে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে পণ্য করে ক্রয় করে থাকে।
আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে অ্যামাজন ডট কম আপনার জন্য বেস্ট। এই সাইটে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকার পণ্য কেনাকাটা করা হচ্ছে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো সেটা হয়তো অনেকেই জানে না তবে আপনি যদি সম্পূর্ণ নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স কমপ্লিট করতে পারেন।
বাংলাদেশে বিভিন্ন আইটি সেন্টার রয়েছে যেখান বিভিন্ন কোর্স করা হয় আপনি চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স কমপ্লিট করে অনলাইনে আয় করতে পারেন। আমাজন থেকে পণ্য প্রচার ও প্রসার করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে পণ্য প্রচার বা প্রসার করতে পারেন অথবা ওয়েবসাইট তৈরি করে করতে পারেন। আপনি যত পণ্য বিক্রর করতে পারবেন তার থেকে কমিশনের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন ভাবে পণ্য মার্কেটিং করতে হবে। পণ্য মার্কেটিং করার জন্য একটি নিশ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এতে আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর পাবেন এবং পণ্য প্রচার-প্রসারনা করতে পারেন।
অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে নিশ ওয়েবসাইট তৈরি করা। স্বল্প মূল্যে ডোমেইন হোস্টিং কিনে আপনি একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। বর্তমানে এখন ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ভালো মানের ডোমেইন ও হোস্টিং খুব কম দামে পাওয়া যায়।
৪। Youtube.Com
ইউটিউব থেকে ইনকাম করুন কোন প্রকার ভিডিও না বানিয়েই
ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করার চাহিদা জেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। সবাই চায় স্বাধীন ভাবে আয় রোজগার করে নিজের ক্যারিয়ারকে সঠিকভাবে তৈরি করতে।
তাই স্বাধীনভাবে অনলাইন থেকে আয় করার অন্যতম একটি সহজ উপায় হচ্ছে ইউটিউব থেকে আয়। ইউটিউব বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও প্লাটফর্ম যেখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিডিও দেখার জন্য ভিজিট করে থাকে। ইউটিউব থেকে আয় করার কয়েকটি উপায় রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম গুগল অ্যাডসেন্স।
আপনি চাইলে আরো কিছু উপায় ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারেন যেমনঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ, স্পন্সরড ভিডিও ইত্যাদি। এই পদ্ধতি গুলোর সাথে সাথে আপনি গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে। আপনি ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।
ইউটিউবের কিছু শর্ত বা নিয়মনীতি রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে এক বছরের মধ্যে এক হাজার সাবস্ক্রাইব ও চার হাজার ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। আর কোনো অডিও-ভিডিও গান বা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কপি করা যাবে না ফলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে বাদ হয়ে যেতে পারে।
আপনি যদি ইউটিউবের শর্তাবলী মেনে নিতে পারেন আর তাদের নিয়ম অনুযায়ী চ্যানেলে ভেরিফাই করতে পারেন তাহলে আপনি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
Google adsense থেকে আয় করতে চাইলে ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশন অন করে গুগল অ্যাডসেন্সের সাথে সংযুক্ত করে নিতে হবে। এতে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওর মধ্যে গুগল থেকে বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করাবে এবং যারা এই বিজ্ঞাপণের মধ্যে ক্লিক করবে সেখান থেকে আপনার ডলার ইনকাম হবে।
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে ইউটিউবে ১ ভিউ কত টাকা দেয়? মনে রাখবেন ইউটিউব ভিউসের উপর ভিত্তি করে টাকা দেয় না তারা দেয় ভিডিওতে বিজ্ঞাপণের উপর ভিত্তি করে। তাই সহজভাবে ইউটিউব থেকে আয় যদি করতে চান তাহলে ইউটিউব থেকে আয় করার সহজ উপায় হচ্ছে মনিটাইজেশন অন করে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করা।
৫। AdWorkMedia.Com-থেকে অনলাইন ইনকাম
অনলাইনে আয় করার উপায় রয়েছে অনেক যদি আপনি চেষ্টা করেন তাহলে সহজেই হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারেন অনলাইন থেকে।
অনলাইন মার্কেটিং করার সুযোগ রয়েছে অনেক আপনি চাইলে নিজের পণ্য নিয়েও মার্কেটিং করতে পারেন অথবা অন্যের পণ্য নিয়ে মার্কেটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অনলাইন মার্কেটিং জগতে দ্রুত সফলতা আনার জন্য আপনি সিপিএ মার্কেটিং করতে পারেন।
CPA এর পূর্ণরূপ হচ্ছে (Cost Per Action) যা প্রতিটি অ্যাকশনে অর্থ প্রদান করা হয়। আপনি যদি কোনো সিপিএ লিংক নিয়ে মার্কেটিং শুরু করেন তাহলে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। সিপিএ মার্কেটিং এর বিভিন্ন কাজ রয়েছে যেমনঃ কোনো ফরম পূরণ, ই-মেইল সাইন আপ, সফটওয়্যার ইনস্টল ইত্যাদি।
এখন আপনি সিপিএ মার্কেটপ্লেস থেকে যদি ইমেইল সাইন আপ নিয়ে কাজ শুরু করেন তাহলে যারা আপনার সিপিএ লিংকে ইমেইল সাইন আপ করবে সেখান থেকে প্রতিটি অ্যাকশনে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মনে রাখবেন সেখানে আপনি বিভিন্ন ইমেইল সাবমিট করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন না। কারণ আপনি যখন সিপিএ মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিবেন তখন সেখানে বলে দেওয়া থাকে কোন কোন দেশের মানুষ ইমেইল সাইন আপ করলে ডলার দেওয়া হবে।
আমি আগেই আপনাদের বলেছি অনলাইন মার্কেটিং করার জন্য ওয়েবসাইটের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। আপনি যদি ওয়েবসাইটে ইমেইল সাবমিট করার অপশন রাখেন তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিটর সেখানে ইমেইল সাবমিট করবে ফলে সেই ইমেইল গুলো লিস্ট আকারে কোথাও সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
এতে আপনি যখন সিপিএ মার্কেটিং করার জন্য ইমেইল সাইন আপ এর কাজটি নিবেন তখন আপনার সংরক্ষণ করা ইমেইল গুলো কাজে লাগাতে পারবেন। অনলাইনে অনেক টপ সিপিএ মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সিপিএ মার্কেটিং করতে পারবেন।
তবে নতুনদের দ্রুত কাজ পাওয়ার জন্য অ্যাড ওয়ার্ক মিডিয়া ডটকম এই মার্কেটপ্লেসটি বেস্ট এর সাথে আরো কিছু ভালো মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেমনঃ CpaGrip.Com, CpaLead.Com, MGcash.Com ইত্যাদি।
অনলাইনে আয় করার অসংখ্য উপায় রয়েছে যার মধ্যে আমি সেরা ৫টি পদ্ধতি আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম। মনে রাখবেন জীবনে সফল হতে চাইলে ধৈর্যের সাথে কাজ করতে হয়।
কোনো কিছু ফ্রিতে পাওয়া যায় না, কোনো দক্ষতা বা জ্ঞান না থাকলে টাকা উপার্জন করা যায় না। তাই নিজের ক্যারিয়ার নিজেই তৈরি করতে চাইলে সময়কে বাজে কাজে ব্যয় না করে সঠিকভাবে কাজে লাগান দেখবেন একদিন সফলতা আসবেই।